২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখ রোজ রবিবার সকাল ১১.০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বরগুনা জেলা কার্যালয় হতে শুঁটকিপল্লী পরিদর্শনের অংশ হিসেবে তালতলী উপজেলার হাসারচর এলাকার শুঁটকিপল্লী পরিদর্শন করা হয়। এসময়ে বরগুনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব মোঃ ইলিয়াস মিয়ার নেতৃত্বে উক্ত শুঁটকি পল্লী পরিদর্শন করাসহ সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। পরিদর্শন চলাকালে উপস্থিত ছিলেন তালতলী উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম। উক্ত কার্যক্রমে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বরগুনা জেলা কার্যালয়ের অন্যান্য সহায়ক স্টাফগনও উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনের সময় শুঁটকিপল্লীতে দৃশ্যমান অসংগতি যা খাদ্য অনিরাপদ করার ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে, এরূপ বিষয় চিহ্নিত করে খাদ্যকর্মীদের সতর্ক করা হয়। এছাড়া শুঁটকিপল্লীতে নিয়োজিত কর্মীদের নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ সম্পর্কে অবগত করার পাশাপাশি সকল কর্মীদের তাৎক্ষনিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় যেখানে নিরাপদ খাদ্য কি, খাদ্যের দূষক, খাদ্য নিরাপদ রাখতে খাদ্য কর্মীদের করণীয় বিষয়গুলো ও খাদ্য নিরাপদ রাখার চাবিকাঠি নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, পরিদর্শনকালে জনাব মোঃ ইলিয়াস মিয়া পর্যবেক্ষণ করেন যে, মাছের উচ্ছিষ্ট অংশ যা মৎস্যখাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয় তা খোলা অবস্থায় বালিতে অন্যান্য শুকনো মাছের সাথে পাশাপাশি রেখে শুকানো হয় এবং উন্মুক্ত অবস্থায় রাখার কারণে অসংখ্য মাছির উপস্থিতি ও উপদ্রব পরিলক্ষিত হয়, যা মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয় ও নিরাপদ খাদ্য আইনের পরিপন্থী। বরগুনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার খাদ্যকর্মীদের খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপদতার মান বজায় রাখার জন্য মৎস্যখাদ্য ও শুকনো মাছ পাশাপাশি রেখে না শুকানো এবং মাছগুলোকে মাচার উপর বিছিয়ে চারপাশে জালি দিয়ে ঘেরাও করে শুকানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়াও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
পরিদর্শন শেষে খাদ্যকর্মীদের হেয়ারনেট, হ্যান্ডগ্লাভস ও মাস্ক বিতরণ করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস